Article

জয়নুল আবেদিনের শিল্পভাবনা ও প্রান্তিক জনজীবন

আবুল মনসুর

অবিভক্ত ভারতবর্ষের চিত্র-ভাস্কর্যের ইতিহাস সুপ্রাচীন। বলা যেতে পারে যে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এ সভ্যতাটির পরিচয় বিধৃত রয়েছে বিশেষত এর স্থাপত্যে, এর চিত্রে ও ভাস্কর্যকলায়। এ সকল শিল্পকৃতির প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা এসেছে সমাজের উচ্চকোটি থেকে, মূলত ধর্মের মহিমা অথবা শাসকমহলের বৈভবের প্রকাশ ঘটাতে। রূপায়নে বিভিন্ন পর্বে এসেছে বিবিধ শিল্পশৈলীর বৈচিত্র্য। এর পাশাপাশি বয়ে চলেছে প্রান্তিকজনের বৃহত্তর লোকজীবনের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রবাহ, তার পরম্পরাগত বৈশিষ্ট্যের রূপকে ধারণ করে। ঔপনিবেশিক শাসন এই ভৌগলিক কাঠামোর মধ্যে প্রোথিত করেছে তার নিজের সংস্কৃতির আঙ্গিক, বিশেষ করে চিত্র ও ভাস্কর্যে পশ্চিমের বাস্তবানুগ রূপায়নের ধারাটিকে। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝিই ভারতের প্রধান শহরগুলিতে স্থাপিত হয় ইউরোপীয় রীতির শিল্পশিক্ষার আর্ট স্কুল, সৃষ্টি হয় হুবহু রূপায়নের অপর একটি ধারা। এই দোলাচলের ভেতর দিয়ে রাজনীতি ও সামাজিক পটভূমির অভিঘাত ধারণ করে এগিয়েছে উপমহাদেশের আধুনিককালের দৃশ্যকলা। উপনিবেশ, দেশভাগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ এই যাত্রাপথে সঞ্চার করেছে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

Read more