১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের রজতজয়ন্তি দিবসে চট্টগ্রামে আমরা শিল্পসমন্বয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলাম। এর উদ্দেশ্য ছিল সৃজনশীলতার বিভিন্ন শাখার, বিশেষ করে দৃশ্যকলা-সঙ্গীত- নাট্যকলা-আলোকচিত্র-চলচ্চিত্রের, মধ্যে ভাবনা ও উপলব্ধির আদানপ্রদানের মাধ্যমে সংস্কৃতিচর্চার জগতকে সমৃদ্ধ করবার কাজে সাহায্য করা। দৃশ্যকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে বিবিধ বিষয়ে বক্তৃতা, সঙ্গীতায়োজন, ভিডিও মাধ্যমে প্রামান্যচিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন, পাঠাগার পরিচালনা ইত্যাকার কার্যক্রমের মাধ্যমে শিল্পসমন্বয়-এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রয়াসটি প্রায় আড়াই বছর চলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিতে হয়।
শিল্পসমন্বয় নামের এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও এর প্রয়োজনীয়তা ও এটি পুনরায় চালু করবার আকাঙ্খাটি আমাদের ভেতরে সুপ্ত ছিল। দীর্ঘ চব্বিশ বছর পর আরেকটি বিজয় দিবসে তথা ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আবারও শুরু করি। ইতোমধ্যে প্রযুক্তির বিপুল অগ্রগতি ও সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমাদের পরিকল্পনাটিকেও ভিন্নভাবে রূপায়িত করবার কথা ভাবতে হয়েছে। এর মূল কার্যক্রমগুলির অধিকাংশ বাস্তবায়িত হবে অনলাইন মাধ্যমে। অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে সচিত্র উপস্থাপন ও বক্তৃতার মাধ্যমেই কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিল্পসমন্বয় উপস্থাপন শিরোনামে এই অডিও ভিজুয়াল কর্মসূচী সৃজনকলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলমান থাকবে। বক্তৃতাগুলি শিল্পসমন্বয়- এর ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে সকলের জন্য অবারিত থাকবে। এ ছাড়া ফেসবুকেও এটি পৌঁছানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। আশা করি শিল্পসমন্বয়-এর এই কার্যক্রম আগ্রহীজনের কাছে সমাদৃত হবে।